*IFT (Interferential Therapy)* হল একটি আধুনিক ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি, যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যথা কমানো এবং স্নায়ু ও পেশির কার্যক্ষমতা উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একধরনের ইলেক্ট্রোথেরাপি যা উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যথা উপশম এবং পুনর্বাসনে সহায়তা করে।
*IFT কীভাবে কাজ করে?*
IFT যন্ত্র উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুতের (4000-5000 Hz) সাহায্যে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে সঞ্চালিত হয়। এটি দুটি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ একত্রিত করে “ইন্টারফেরেন্স” তৈরি করে, যা:
1. *দুর্গম টিস্যুগুলোতে পৌঁছে:* গভীরভাবে প্রবেশ করে ব্যথা কমায়।
2. *রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়:* পেশি ও টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে।
3. *স্নায়ু শিথিল করে:* স্নায়ুর উদ্দীপনা কমিয়ে আরাম প্রদান করে।
*IFT-এর উপকারিতা:*
– ব্যথা উপশম।
– পেশির শক্তভাব দূর করা।
– রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা।
– প্রদাহ কমানো।
– স্নায়ু উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণ।
– পেশির পুনরুদ্ধারে সহায়তা।
*IFT কোন সমস্যায় ব্যবহৃত হয়?*
IFT সাধারণত নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোতে ব্যবহৃত হয়:
১. পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা:*
– আর্থ্রাইটিস (Arthritis)।
– লো ব্যাক পেইন।
– ফ্রোজেন শোল্ডার।
– টেন্ডোনাইটিস।
২. স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা:*
– সায়াটিকা।
– নার্ভ পেইন।
– প্যারালাইসিস।
৩. আঘাতজনিত সমস্যা:*
– স্পোর্টস ইনজুরি।
– লিগামেন্ট ইনজুরি।
– ফ্র্যাকচারের পর ব্যথা।
৪. প্রদাহ ও ফোলা:*
– টিস্যু ফোলা বা ইনফ্লামেশন।
– পেশির গিঁটমুক্ত করা।
IFT কীভাবে প্রদান করা হয়?*
1. রোগীর ব্যথার স্থানে ইলেক্ট্রোড প্যাড স্থাপন করা হয়।
2. যন্ত্রের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ করা হয়।
3. ১০-২০ মিনিট ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
4. চিকিৎসার পর পেশি শিথিল এবং ব্যথা কম অনুভূত হয়।
IFT-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:*
IFT সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্বস্তি হতে পারে:
– ইলেক্ট্রোড প্যাডের কারণে ত্বকে লালভাব বা জ্বালাপোড়া।
– হার্ট পেসমেকার থাকলে এটি ব্যবহার নিষিদ্ধ।
– গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।
IFT চিকিৎসা অবশ্যই প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করা উচিত। এটি ব্যথা উপশমে অত্যন্ত কার্যকর এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারে।