*ম্যানুয়াল এক্সারসাইজ ফিজিওথেরাপি* হলো একটি বিশেষ ধরনের ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি, যেখানে ফিজিওথেরাপিস্টের হাত দিয়ে সরাসরি শারীরিক ব্যায়াম বা থেরাপি প্রদান করা হয়। এটি প্রধানত পেশি, জয়েন্ট, স্নায়ু এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথা কমানো ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
ম্যানুয়াল এক্সারসাইজের ধরন*
১. *স্ট্রেচিং (Stretching):*
– পেশি ও জয়েন্টের শক্ত ভাব কমাতে।
– পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে।
২. *জয়েন্ট মোবিলাইজেশন (Joint Mobilization):*
– জয়েন্টের গতিশীলতা উন্নত করতে।
– অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে।
৩. *প্যাসিভ মুভমেন্ট (Passive Movement):*
– যখন রোগী নিজে চলাফেরা করতে অক্ষম।
– ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অঙ্গগুলোকে নড়াচড়া করায়।
৪. *মাসল রিলিজ থেরাপি (Muscle Release Therapy):*
– পেশির টান ও গিঁটমুক্ত করতে।
– রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে।
৫. *রেসিসটেড এক্সারসাইজ (Resisted Exercise):*
– পেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য।
– ফিজিওথেরাপিস্টের প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগীর পেশি ব্যবহার করানো হয়।
৬. *ম্যাসাজ থেরাপি (Massage Therapy):*
– পেশি ও টিস্যুর ব্যথা উপশম।
– শিথিলতা এবং রক্তপ্রবাহ উন্নত করা।
৭. *পোষ্চারাল কারেকশন এক্সারসাইজ (Postural Correction):*
– শরীরের ভুল ভঙ্গি সংশোধন।
– ব্যথা এবং অসুবিধা কমানো।
*ম্যানুয়াল এক্সারসাইজের উপকারিতা*
– ব্যথা কমানো।
– পেশি ও জয়েন্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।
– সঠিক অঙ্গভঙ্গি পুনরুদ্ধার।
– রক্ত সঞ্চালন উন্নত।
– পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
*ম্যানুয়াল থেরাপি* রোগীর নির্দিষ্ট সমস্যার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজ করা হয় এবং এটি দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া উচিত।